মাসিক কোনো রোগ নয়৷ এটি নারী দেহের স্বাভাবিক একটি প্রক্রিয়া৷ একজন কিশোরীর জন্য এটি প্রথম সংকেত যা বলে দেয় যে সে তার বাড়ন্ত কৈশোরে পা রাখতে যাচ্ছে।
প্রতি মাসে ডিম্বাশয় একটি ডিম্বাণু উৎপাদন করে। সবচেয়ে পরিপক্ক বা পূর্ণাঙ্গ ডিম্বাণুটি ডিম্বনালির মধ্য দিয়ে জরায়ুতে চলে যায়। জরায়ু হচ্ছে দেহের এমন একটি অংশ যেখানে শিশু সুরক্ষিত থাকে ও প্রতিনিয়ত পুষ্টি পায়। যখন ডিম্বাণু পরিপক্ক হয় তখন শরীর জরাযুতে রাসায়নিক সংকেত পাঠায়। ফলে জরায়ুর ভিতরের অংশ পুরু হয়ে ওঠে। ডিম্বাশয় থেকে পরিপক্ক ডিম্বাণু বেরিয়ে এসে ডিম্বনালীতে অবস্থান নেয়। এই পুরো প্রক্রিয়াকে বলে হয় ডিম্বাণু উৎপাদন প্রক্রিয়া। ডিম্বানুটি শুক্রানু দ্বারা নিষিক্ত হলে গর্ভসঞ্চার হয়। গর্ভবতী অবস্থায় নিষিক্ত ডিম্বাণুটি ডিম্বনালীর মধ্য দিয়ে জরায়ুতে আসে। ৬ দিনের মধ্যে নিষিক্ত ডিম্বাণুটি জরায়ুতে সৃষ্ট নরম, পুরু আবরণের সাথে যুক্ত হয়ে যায়। আর যদি গর্ভবতী না হয়, তাহলে অনিষিক্ত ডিম্বাণুটি নষ্ট হয়ে যায়। জরায়ুর ভেতরে কোন শিশু জন্ম না নেওয়ায় নরম ও পুরু আবরণটিও ভেঙে যায়; শরীর থেকে রক্তের আকারে বের হয়ে আসে। এভাবেই মাসিকের শুরু হয়।
ঋতুস্রাব বা মাসিক হলে খাবারে বিশেষ নজর রাখা উচিত। কেন না মাসিক পুরো মানবজাতির টিকে থাকার একটা অংশ কিন্তু। তাই বাড়তি একটু যত্ন এইসময় অবশ্যই নিতে হয়। ফলে মেয়েরা বিভিন্ন রোগ এবং সমস্যা থেকে মুক্ত থাকতে পারবে। পিরিয়ড বা মাসিকের সময় সুষম ও স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে। মাসিক বা ঋতুস্রাবের সময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকা খুবই জরুরি। এই সময় পরিষ্কার অন্তর্বাস, পরিষ্কার মাসিকের কাপড় বা প্যাড ব্যবহার করতে হবে। মাসিকের কাপড় প্রতি এক থেকে দুইমাস পর পর পরিবর্তন করতে হবে। নিয়মিত গোসল করতে হবে।